[ বি জ্ঞা ন ]বাংলাদেশে বিজ্ঞান শিক্ষার দুরবস্থা:চ্যালেঞ্জ উত্তরণে স্থানীয় উদ্যোগ
খোন্দকার ফিদা হাসান
বর্তমান যুগকে বলা হয় বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির যুগ। বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ছাড়া একটি সমাজ কিংবা দেশ আজকের বিশ্বে অকল্পনীয়। বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হিসাবে স্বীকৃত বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ সীমিত। তাই মানবসম্পদের সঠিক ব্যবহারই হতে পারে বাংলাদেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি। এমতাবস্থায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমেই মানবসম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব। এই বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, বাংলাদেশের বিজ্ঞান শিক্ষা আজ অনেকটা উল্টো পথে চলছে। অথচ বিজ্ঞান শিক্ষা আর গবেষণায় বাঙালিদের রয়েছে অসামান্য অবদান। উদ্ভিদের জীবন রহস্যের উন্মোচন থেকে শুরু করে হালের কলেরার জীবাণু, ম্যাগনেটিক ট্রেন, সোলার এনার্জি সেল, পাটের জীনম নকশা কিংবা আর্সেনিক মুক্তকরণ সনোফিল্টার সবই বাঙালি বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার। স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, ড. কুদরত-ই-খুদা, ড. আবুল হুসসাম, ডা এম ফারুক কিংবা ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল-এর নাম বাংলাদেশে বিজ্ঞান শিক্ষার অনুপ্রেরণা। এরপরও বিগত কয়েক দশকে বাংলাদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে আশংকাজনক হারে বিজ্ঞান শিক্ষার্থী কমেছে। দেশের ভবিষত্কল্পে বর্তমান অবস্থা তাই অশুভ ।
বলা হয়ে থাকে কৌতূহল থেকে বিজ্ঞানের জন্ম, আর কৌতূহলের বশবর্তী হয়েই মানুষ তার পারিপার্শ্বকে বুঝতে শিখে যা কখনো কখনো উদ্ভাবনের চাবিকাঠিও হয়ে যায়। এজন্য কথায় আছে, বিজ্ঞান শিক্ষা শুধুমাত্র বৈজ্ঞানিক গবেষণার নিমিত্তে নয় বরং বৈজ্ঞানিকভাবে চিন্তা-চেতনার জন্যও বটে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যেখানে বিজ্ঞান শিক্ষায় ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে, গ্র্যাজুয়েট তৈরি করছে সেখানে বাংলাদেশ যেন বিজ্ঞান শিক্ষায় পিছু হাঁটছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞান শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিগত কয়েক দশকের পর অর্ধেকে নেমে এসেছে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ১৯৮৮ সালে বিজ্ঞান বিভাগের পরিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল সকল পরীক্ষার্থীর ৪১% অথচ ২০১০-এ এসে তা দাঁড়িয়েছে ২২%। ২০০০ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিজ্ঞান শিক্ষার্থী কমেছে ৩৪.৩২%। ছাত্র(৩২.৩%) অপেক্ষা ছাত্রীদের (৩৬.৩৪%) মধ্যে এই হার ছিল বেশি।
দুটি পৃথক গবেষণা রিপোর্টের মাধ্যমে এ বিষয়ক প্রকৃত চিত্র ফুটে উঠেছে। গবেষণাকর্ম দুটির একটি পরিচালনা করে Bangladesh Freedom Foundation (BFF) ২০১০ সালে এবং অন্যটি পরিচালনা করে Teaching Quality Improvement (TQI) প্রজেক্ট। প্রথম গবেষণাটি ৭টি বিভাগের ২৪০টি স্কুল থেকে উপাত্ত সংগ্রহ করে এবং দ্বিতীয়টি ১৬টি জেলার ২০০টি স্কুলের উপর চালনা করে। মূলত দুটি গবেষণা রিপোর্টই বিজ্ঞান শিক্ষার একই অবস্থা নির্দেশিত করে। BFF গবেষণাপত্র থেকে দেখা যায়, বিগত কয়েক বছরে বিজ্ঞান শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩১.৩৩% কমেছে। ব্যানবিস (Bangladesh Bureau of Educational Information and Statistics (BANBEIS)) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০১ সালে ৭,৮৬,২২০ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২,৬৪,১০০ জন ছিল বিজ্ঞান বিভাগের যা মোট শিক্ষার্থীর ৩৩.৫৯%। কিন্তু ২০১০ সালে সর্বমোট ৯,১২,৫৭৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ২,০৩,৯৯২জন যা ২২.৩৫%। অর্থাত্ এক দশকে মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ১১.২৪%। একই দৃশ্য পরিলক্ষিত হয় উচ্চমাধ্যমিক স্তরেও। ২০০১ সালে ৫,২৫,৭৫৫ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১,২৬,৩১৫ জন ছিল বিজ্ঞান বিভাগের যা শতকরা ২৪.০৩ জন। কিন্তু ২০১০ সালে ৫,৮০,৬২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান শিক্ষার পরীক্ষার্থী কমে দাঁড়ায় ১,০৬,৫২৭ জন যা শতকরা ১৮.৩৫% জন। অর্থাত্ এক দশকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে শতকরা ৫.৬৮ জন। দুঃখজনক এই নিম্নমুখিতা আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়েও পরিলক্ষিত হচ্ছে। সামপ্রতিক এক গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করে যে, ২০০৯ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মোট শিক্ষার্থীর ১৪.৫% যা ২০১১ সালে কমে দাঁড়ায় ১৩.৩% এবং এখন(২০১৩) যা মাত্র ১২%! এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিজ্ঞান শিক্ষার্থী শহর অঞ্চলের তুলনায় গ্রাম অঞ্চলে আশংকাজনকভাবে কম।
কিন্তু কেন এই নিম্নগামিতা? উত্তর খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞান শিক্ষায় নিরুত্সাহিত হওয়ার বিভিন্ন কারণ খুঁজে পাওয়া যায়। তন্মধ্যে অন্যতম কারণ হিসাবে বিশ্বায়নের প্রভাবকে চিহ্নিত করা হয়। মূলত বিশ্বায়নের এই যুগে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলো উন্নত দেশের জন্য তৈরিকৃত পণ্যদ্রব্য বিক্রয়ের এক ক্ষেত্র হিসাবে পরিগণিত হচ্ছে। উন্নত দেশগুলোর বহুজাতিক কোম্পানি তাদের শাখা খুলে পণ্যদ্রব্য বিক্রয় করছে যেখানে তারা কর্মচারী নিয়োগ দিচ্ছে যাদের বেশিভাগের কাজ শুধুমাত্র কোম্পানির প্রতিনিধি কিংবা বিক্রয়কারী হিসাবে। নিঃসন্দেহে এই ধরনের চাকরিতে বেতন খুবই উঁচুমানের আর কোন ধরনের বৈজ্ঞানিক কিংবা প্রকৌশলী দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। ফলশ্রুতিতে সবাই বিজ্ঞান শিক্ষায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে আর বাণিজ্য বিষয়ক শিক্ষার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । এটা বর্তমান সময়ে বিজ্ঞান শিক্ষায় অনাগ্রহের একটা প্রধান কারণ হলেও এর পাশাপাশি বিজ্ঞান গ্র্যাজুয়েটদের চাকরির বাজারে অনেকটা অনিশ্চিত ভবিষ্যত্ আর আর্থিক সমস্যাও উল্লেখযোগ্য।
এগুলোসহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ বিভিন্ন গবেষণা রিপোর্টে উঠে এসেছে। যেমন TQI এর রিপোর্ট সামগ্রিক বিজ্ঞান শিক্ষায় অবনমন খুঁজে পেয়েছে। তাদের জরিপ অনুযায়ী, প্রায় ১২.২৩% শিক্ষার্থী বিশ্বাস করে যে তাদের যোগ্য বিজ্ঞান শিক্ষকের অভাব রয়েছে। ১১.২৯% শিক্ষার্থী জানিয়েছে বিদ্যালয়ে বৈজ্ঞানিক সরঞ্জামাদি তথা পরীক্ষাগারের অভাব রয়েছে যা মূলত বিজ্ঞান শিক্ষার গুণগত অবনমনেরই পরিচয়ক। BFF এর রিপোর্টে উঠে এসেছে, ৬৫% মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষার্থী জানিয়েছে তাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিজ্ঞান শিক্ষক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই। BFF রিপোর্টে আরো উঠেছে যে গ্রামাঞ্চলের ৭৮.৫% শিক্ষক আর ৭৬.১% অভিভাবক মনে করে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক গবেষণাগার আর সরঞ্জামাদি তাদের বিদ্যালয়ে নেই।
উল্লেখিত সমস্যাগুলোর পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞান শিক্ষাজনিত ব্যয় মানবিক কিংবা বাণিজ্য শিক্ষার ব্যয় থেকে অনেক বেশি। BFF সার্ভে অনুযায়ী, ৬০% বিজ্ঞান শিক্ষার্থী আর ৮০% মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী মনে করে বিজ্ঞান শিক্ষা অনেক বেশি ব্যয়বহুল। পরিসংখ্যান আরো বলে, বিজ্ঞান সিলেবাস তুলনামূলকভাবে অনেক বড় আর জটিল। বইগুলো অনেক বেশি বিষয় সম্বলিত। জরিপে ৩৯% বিজ্ঞানের শিক্ষক এই সিলেবাসকে বেশ কঠিন আর অনুপযুক্ত বলে দাবি করে আর ৪৫% শিক্ষার্থী তাদের পড়া বোঝে না বলে স্বীকার করে।
তাই বলা যায়, বিজ্ঞান শিক্ষার নিম্নগামিতার কারণসমূহ মূলত অনেক। অধিকন্তু এই সমস্যাগুলোর পাশাপাশি কিছু সামাজিক সমস্যাও আছে, যেমন অভিভাবকদের নিরক্ষরতা ও অসচেতনতা এবং বিজ্ঞান শিক্ষাবিষয়ক কুসংস্কার বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসারে অন্তরক।
যেহেতু একটি দেশের উন্নতি দেশটির বৈজ্ঞানিক আর প্রযুক্তিগত জ্ঞানের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, বিজ্ঞান শিক্ষার নিম্নগামিতা তাই দেশের বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, শিক্ষকসমাজ তথা দেশপ্রেমীদের ভাবিত করেছে। এমতাবস্থায় বর্তমান অবস্থার উন্নতিকল্পে তারা বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করেছে যা পরিস্থিতি উত্তরণের সহায়ক। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী, অবস্থার উন্নতিকল্পে সরকারকে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ যেমন ভারত ও পাকিস্তানের মত সরকারকে অবশ্যই বিজ্ঞান শিক্ষাখাতে আলাদা বরাদ্দ দিতে হবে। পাশাপাশি, শিক্ষার সকল স্তরে যুগোপযোগী কারিকুলামের সঠিক সমন্বয় করা প্রয়োজন। পাঠ্যবইগুলোকে বাহুল্যবিবর্জিত করে সরলভাবে উপস্থাপন করা আবশ্যিক। শিক্ষকদের বেতনকাঠামো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন এবং প্রতিটি বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য গবেষণাগার স্থাপন করা প্রয়োজন। একই সাথে টেলিভিশনে শিক্ষা বিষয়ক প্রোগ্রাম প্রচারের মাধ্যমে বিজ্ঞান শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
উপরোল্লখিত প্রস্তাবনাগুলো দেশের জাতীয় পর্যায়ের নীতিনির্ধারণের সাথে জড়িত। তাই কালক্ষেপণ না করে স্থানীয় পর্যায় থেকে কিছু পদক্ষেপ নেয়া এখন অত্যাবশ্যকীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় পর্যায় থেকে উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের যেমন অনেক কিছুই করার আছে তেমনি করার উদ্দেশ্যে অনেক কিছু শেখারও আছে। যেমন, স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোগের প্রথমেই ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় জনগণ নিয়ে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে যেটা স্থানীয় কমিউনিটিকে জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংযোজিত করবে। নেটওয়ার্কটির ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় কমিটি কিংবা অনলাইনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও ব্যবহার করা যেতে পারে। মূলত এই ধরনের নেটওয়ার্ক স্থানীয় পর্যায়ে এবং তা ছাড়িয়েও বাইরের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণে সহায়তা করবে।
এ ধরনের একটি নেটওয়ার্ক জ্ঞান আরোহণ ও বিতরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে, নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের সান্নিধ্য পাবার সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে এমনকি এই ধরনের একটি নেটওয়ার্ক দেশ-বিদেশ থেকে শিক্ষার উন্নতিকল্পে আর্থিক সহায়তাও লাভ করতে পারে। নেটওয়ার্ক পরিচালনার মাধ্যমে এক ধরনের সামাজিক আন্দোলনের সূচনা হবে যার মাধ্যমে ঐক্য আর সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। এই ধরনের সংঘ অতঃপর ভালো ফলাফলধারী বিজ্ঞান স্নাতকদের শিক্ষকতা পেশায় আনতে প্রণোদনা যোগাবে। নিরক্ষর আর নিরুত্সাহিত অভিভাবকদের কাউন্সিলিং-এর মাধ্যমে উত্সাহিত করতে পারবে যেন তারা তাদের সন্তানদের বিজ্ঞান শিক্ষায় প্রতিবন্ধক না হয়ে সহায়ক হয়। একই সাথে বিজ্ঞানভীতি থেকে শিক্ষার্থীদেরকে মুক্তি দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে। কথায় আছে , ‘দশের লাঠি একের বোঝা’। তাই এমন একটি সংঘবদ্ধ কমিউনিটি বিজ্ঞান শিক্ষার অবনমনকে রুখে নতুন দিনের সূচনা করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। শিক্ষক আর অভিভাবকদের সচেতনতাকল্পে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সেমিনার, আলোচনা এবং প্রশিক্ষণের আয়োজন করা যেতে পারে। নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নিয়মিত কর্মশালা, বিজ্ঞান মেলা কিংবা কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যেতে পারে যেন এ দ্বারা শিক্ষার্থীরা উপকৃত ও প্রণোদিত হয়। নেটওয়ার্কের সদস্যরা চাইলে দরিদ্র শিক্ষার্থীর জন্য বৃত্তির ব্যবস্থাও করতে পারে। এ ধরনের একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে স্থানীয়রা একটি ‘বিজ্ঞান ক্লাব’ স্থাপন করতে পারে। নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞান ক্লাব একটি প্রণোদনার স্থান প্রমাণিত। সময়ের সাথে মাধ্যমিক এবং উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা যেখানে বাড়ছে সেখানে বিজ্ঞান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমাগত কমছে। এটা উদ্বেগের বিষয়। দেশের বিজ্ঞান শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীর পরিমাণের এমন অবনমন সকলকে ভাবিত করছে। পরিস্থিতির উন্নতি সাধনে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের লক্ষ্যে সরকারকে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকেও সচেতনতার সাথে ও ছোট ছোট উদ্যোগের মাধ্যমে এগিয়ে আসতে হবে, তাহলেই গড়ে তোলা সম্ভব হবে বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য এক অনুকূল পরিবেশ।